tsunami japan লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
tsunami japan লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৮

সুনামী

সুনামী হলো বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক ঢেউ-এর সমষ্টি ।‘সুনামী’ জাপানী শব্দ । অর্থ ‘হারবার ওয়েভ’ বা ‘তীরের ঢেউ’। সাগরের নীচে রিক্টারস্কেলে ৮ অথবা তার উপরের মাত্রার ভুমিকম্পের ফলে সুনামীর সৃষ্টি হয়।অনেক সময় সাগরের নীচে ভুমিধস কিংবা আগেয়œগিরির অগ্ন্যৎপাতের ফলেও সুনামীর সৃষ্টি হতে পারে। ঢেউ চক্রাকারে চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গভীর সাগরে এই ঢেউ-এর অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। ঢেউ-এর চুড়া মাত্র কয়েক ফুট লম্বা হতে পারে। এই ঢেউ যখন তীরের দিকে অগভীর পানির দিকে অগ্রসর হতে থাকে,তখন ঢেউ-এর উচ্চতা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি( ১০০ মিটার পর্যন্ত) পায় এবং বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে তীরবর্তী এলাকায় আঘাত হানে। 

সুনামী সর্ম্পকে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

১.    সুনামীর  উচ্চতা ১০০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
২.    প্রায় ৮০% সুনামী প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ বা আগ্নেয়বলয় এলাকায় সৃষ্টি হয়। ‘রিং অব ফায়ার’ হলো প্রশান্ত মহাসাগরের প্রান্ত ঘেষে আগ্নেয়গিরির বলয়।
৩.     এখন পর্যন্ত ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত মহাসাগরে ভুমিকম্পের ফলে যে সুনামী হয়েছিল, সেটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ভুমিকম্প। ভারত মহাসাগরে৯.০ মাত্রার এই ভুমিকম্পে ১৪টি দেশের ২১৬০০০ জন অধিবাসী নিগত হয়।
৪.    গভীর সাগরে সুনামী ঘন্টায় ৬০০ মাইল( ৯৬৫ কি.মি/ঘন্টা,৫২১ নট) পথ অতিক্রম করতে পারে।
৫.    সুনামী তীরের অগভীর পানিতে এসে ধীরগতিসম্পন্ন ( ৩০ থেকে ৪০ মা¦ইল/ঘন্টা, ২৬-৩৫ নট) হয়ে পড়ে কিন্তুু,উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়।
৬.    তীরবর্তী এলাকায় খেঁজুর জাতীয় গাছ লাগিয়ে সুনামী প্রতিরোধ বেষ্টনী তৈরী করা যায়।



ইতিহাসে উল্লেখ্যযোগ্য সুনামী

১.    ১ নভেম্বর, ১৭৫৫: ভুমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামীতে পর্তুগালের লিসবনে প্রায় ৬০,০০০ অধিবাসী নিহত হয় ।

২.    ২৭ আগষ্ট, ১৮৮৩: ক্রাকাতুয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুপাতে ফলে সৃষ্ট সুনামীতে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপে প্রায় ৩৬০০০ অধিবাসী নিহত হয়।

৩.    ১৫ জুন,১৮৯৬: ৮.৫ মাত্রার ভুমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামীতে জাপানের সানরিকু প্রদেশে প্রায় ২৮,০০০ অধিবাসী নিহত হয়।

৪.    ২৮ ডিসেম্বর,১৯০৮: